ভূতত্ত্ববিদ্যা MCQ Quiz in বাংলা - Objective Question with Answer for Geomorphology - বিনামূল্যে ডাউনলোড করুন [PDF]

সঠিক উত্তর হল 1) 1, 2 এবং 3.

মূল বিষয়গুলিজন হেনরি প্র্যাটের আইসোস্ট্যাসির তত্ত্বের সাথে সম্পর্কিত বিবৃতিগুলি বোঝা

• ক্রাস্টের ঘনত্বের তারতম্য দ্বারা ক্ষতিপূরণ
  • প্র্যাটের তত্ত্ব বলে যে টপোগ্রাফিক উচ্চতার তারতম্য পুরুত্বের পরিবর্তে ক্রাস্টের ঘনত্বের পার্থক্য দ্বারা ক্ষতিপূরণ করা হয়।
  • এর অর্থ হল উঁচু টপোগ্রাফিযুক্ত অঞ্চলের আইসোস্ট্যাটিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য কম ঘন ক্রাস্ট থাকে। অতএব, বিবৃতি 1 সঠিক।
• পুরুত্বের পার্থক্যের উপর ঘনত্বের পার্থক্য
  • প্র্যাটের মতে, বিভিন্ন অঞ্চলের উচ্চতা ক্রাস্টের পুরুত্বের পরিবর্তে ঘনত্ব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
  • এই ঘনত্বের তারতম্যের কারণে ক্রাস্ট ম্যান্টলে বিভিন্ন উচ্চতায় ভেসে থাকে। অতএব, বিবৃতি 2 সঠিক।
• একই রকম ক্রাস্টের পুরুত্বের অনুমান
  • প্র্যাট প্রস্তাব করেছিলেন যে পৃথিবীর ক্রাস্টের পুরুত্ব একই রকম, এবং টপোগ্রাফি এবং পর্বত গঠনের তারতম্য ক্রাস্টের ঘনত্বের তারতম্য দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়, ঘন বা পাতলা ক্রাস্টের রুট থাকার দ্বারা নয়।
  • এটি ক্রাস্টের পুরুত্বের পরিবর্তন ছাড়াই উচ্চতার পার্থক্য ব্যাখ্যা করে। অতএব, বিবৃতি 3 সঠিক।
• ঘনত্ব এবং গভীরতার ভুল ব্যাখ্যা
  • প্র্যাট প্রস্তাব করেননি যে পর্বতময় অঞ্চলে কম ঘনত্বের উপাদানগুলি ম্যান্টলে আরও গভীরে বিস্তৃত হয়। পরিবর্তে, তার তত্ত্ব ক্রাস্টের মধ্যে পার্শ্বীয় ঘনত্বের তারতম্যের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিল।
  • বিবৃতি 4 প্র্যাটের ধারণাগুলিকে এয়ারির মডেলের সাথে মিশিয়ে দেয়, যাতে ম্যান্টলে বিস্তৃত ক্রাস্টের রুট জড়িত। অতএব, বিবৃতি 4 ভুল।

অতিরিক্ত তথ্য

• প্র্যাট এবং এয়ারির তত্ত্বের মধ্যে পার্থক্য
  • আইসোস্ট্যাসির এয়ারির তত্ত্ব বলে যে টপোগ্রাফিক উচ্চতার তারতম্য ক্রাস্টের পুরুত্বের পার্থক্যের কারণে (পর্বতের নীচে ঘন ক্রাস্টের রুট)।
  • অন্যদিকে, প্র্যাটের তত্ত্ব ক্রাস্টের ঘনত্বের পার্শ্বীয় তারতম্যের উপর জোর দেয়, একই রকম ক্রাস্টের পুরুত্ব বজায় রাখে।
• আইসোস্ট্যাসির ধারণার প্রয়োগ
  • এই তত্ত্বগুলি ব্যাখ্যা করে কিভাবে পৃথিবীর ক্রাস্ট আইসোস্ট্যাটিক ভারসাম্য অর্জন করে।
  • ভূতত্ত্ববিদদের জন্য পর্বত গঠন, প্লেট টেকটোনিক্স এবং পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ ক্ষেত্র অধ্যয়নের জন্য এই নীতিগুলি বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সঠিক উত্তর হল বিকল্প 2

Key Points

• একটি ইনসেলবার্গ হল একটি বিচ্ছিন্ন পাহাড় বা পর্বত যা সমতল থেকে হঠাৎ উঠে আসে, আধা-শুষ্ক বা শুষ্ক অঞ্চলে পার্থক্যমূলক ক্ষয়ের কারণে গঠিত হয়।
• এটি সাধারণত শক্ত আগ্নেয় বা রূপান্তরিত শিলা দিয়ে গঠিত যা ক্ষয়ের প্রতিরোধ করে।

Additional Information 

• পেনিপ্লেন
  • দীর্ঘস্থায়ী ক্ষয়ের দ্বারা গঠিত একটি নিম্ন-উন্নত, প্রায় সমতল সমভূমি।
  • একটি ভূদৃশ্যের ক্ষয় চক্রের চূড়ান্ত পর্যায় উপস্থাপন করে।
  • প্রায়শই প্রাচীন, স্থিতিশীল মহাদেশীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়।
  • সমভূমির উপরে উঠে থাকা অবশিষ্ট পাহাড় (মোনাদনক) থাকতে পারে।
• ইনসেলবার্গ
  • একটি বিচ্ছিন্ন পাহাড় বা পর্বত যা সমতল থেকে হঠাৎ উঠে আসে।
  • আধা-শুষ্ক বা শুষ্ক অঞ্চলে পার্থক্যমূলক ক্ষয়ের মাধ্যমে গঠিত।
  • শক্ত, প্রতিরোধী শিলা (আগ্নেয় বা রূপান্তরিত) দিয়ে গঠিত।
  • উদাহরণ: অস্ট্রেলিয়ার উলুরু (এয়ার্স রক), ব্রাজিলের শুগারলোফ পর্বত।
• মেসা
  • সমতল-শীর্ষ পাহাড় বা পর্বত যার খাড়া ঢাল রয়েছে।
  • অনুভূমিক শিলা স্তরের ক্ষয়ের মাধ্যমে গঠিত, একটি প্রতিরোধী ক্যাপ্রক ছেড়ে যায়।
  • একটি মালভূমির চেয়ে ছোট কিন্তু একটি বাটের চেয়ে বড়।
  • শুষ্ক এবং আধা-শুষ্ক অঞ্চলে সাধারণ।
  • উদাহরণ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেসা ভার্দে।
• বাজাদা
  • অ্যালুভিয়াল ফ্যানের একটি সিরিজ যা একটি পর্বতমালায় ভিত্তিতে একত্রিত হয়।
  • শুষ্ক বা আধা-শুষ্ক অঞ্চলে পর্যাবৃত্ত প্রবাহের দ্বারা পলি জমা হওয়ার কারণে গঠিত।
  • একটি মৃদু ঢালযুক্ত, ফ্যান-আকৃতির পৃষ্ঠ দ্বারা চিহ্নিত।
  • বেসিন-এবং-রেঞ্জ টপোগ্রাফিতে সাধারণ।

সঠিক উত্তর হল সিকোয়া।

Key Points

• সর্বোচ্চ উচ্চতার জীবিত গাছ হল একটি কোস্ট রেডউড (সিকোইয়া সেম্পারভাইরেন্স)।
• এই গাছটি সাধারণত সিকোয়া নামে পরিচিত।
• সর্বোচ্চ সিকোয়া গাছ, যার নাম হাইপেরিয়ন, 379.7 ফুট (115.7 মিটার) উচ্চতায় দাঁড়িয়ে আছে।
• 2006 সালে ক্যালিফোর্নিয়ার রেডউড ন্যাশনাল পার্কে এটি আবিষ্কৃত হয়েছিল।
• সিকোয়া গাছগুলি তাদের অসাধারণ উচ্চতা এবং দীর্ঘায়ু জন্য পরিচিত, প্রায়শই  2,000 বছরের বেশি বেঁচে থাকে।

Additional Information

• কোস্ট রেডউড (সিকোইয়া সেম্পারভাইরেন্স​):
  • উত্তর ক্যালিফোর্নিয়া এবং দক্ষিণ ওরেগনের উপকূলীয় অঞ্চলে জন্মে।
  • তাদের অবিশ্বাস্য উচ্চতা এবং পাতলা কান্ডের জন্য পরিচিত।
• হাইপেরিয়ন:
  • বিশ্বের সর্বোচ্চ জীবিত গাছ।
  • রেডউড ন্যাশনাল পার্কের একটি দূরবর্তী এলাকায় অবস্থিত, এর সঠিক অবস্থান গোপন রাখা হয় এটিকে রক্ষা করার জন্য।
• বৃদ্ধির অবস্থা:
  • সিকোয়া গাছগুলি উপকূলীয় কুয়াশার বেল্টের আর্দ্র, আর্দ্র জলবায়ুতে ভালোভাবে জন্মে।
  • বৃদ্ধির জন্য তাদের প্রচুর বৃষ্টিপাত এবং মৃদু তাপমাত্রার প্রয়োজন।
• সংরক্ষণের অবস্থা:
  • সিকোয়া গাছগুলি জাতীয় এবং রাজ্য পার্কে সুরক্ষিত।
  • এই প্রাচীন দৈত্য এবং তাদের বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের জন্য প্রচেষ্টা চলছে।

সঠিক উত্তর হল ক্যানোপি লেয়ার।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

• ক্যানোপি লেয়ার হল একটি রেইনফরেস্টের দ্বিতীয় শীর্ষ স্তর।
• এটি লম্বা গাছের ঘন পাতা নিয়ে গঠিত যা একটি ঘন আবরণ তৈরি করে।
• এই স্তরটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি নিচের স্তরগুলির উপরে একটি ছাদ তৈরি করে, ছায়া এবং আশ্রয় প্রদান করে।
• ক্যানোপি বিভিন্ন ধরণের উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল, যার মধ্যে অনেক প্রজাতির পাখি, পোকামাকড় এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে।
• এই স্তরটি সালোকসংশ্লেষণ এবং রেইনফরেস্ট ইকোসিস্টেমের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• এটি তাপ এবং আর্দ্রতা আটকে একটি আর্দ্র পরিবেশ তৈরি করে জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

অতিরিক্ত তথ্য

• আন্ডারস্টোরি লেয়ার
  • আন্ডারস্টোরি লেয়ারটি ক্যানোপির নিচে অবস্থিত এবং এতে ছোট গাছ ও গুল্ম থাকে।
  • এই স্তরটি উপরের ক্যানোপির ঘন পাতার কারণে সীমিত সূর্যালোক পায়।
  • এটি ছায়া-সহনশীল গাছপালা এবং বিভিন্ন প্রাণী প্রজাতির আবাসস্থল যারা কম আলোর পরিবেশে বিকাশ লাভ করে।
• ইমারজেন্ট লেয়ার
  • ইমারজেন্ট লেয়ার হল রেইনফরেস্টের সবচেয়ে উপরের স্তর।
  • এটি সবচেয়ে লম্বা গাছ নিয়ে গঠিত যা ক্যানোপির উপরে উঠে 200 ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছায়।
  • এই স্তরটি সবচেয়ে বেশি সূর্যালোক পায় এবং প্রবল বাতাসের সংস্পর্শে আসে।
• ফরেস্ট ফ্লোর
  • ফরেস্ট ফ্লোর হল রেইনফরেস্টের নিচের স্তর।
  • এটি পচনশীল পাতা, ডালপালা এবং অন্যান্য জৈব পদার্থে ঢাকা থাকে।
  • এই স্তরটি খুব কম সূর্যালোক পায় এবং এটি ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার মতো বিয়োজকদের আবাসস্থল।

Key Point

• একটি অভিসারী প্লেট সীমানা হল পৃথিবীর এমন একটি অঞ্চল যেখানে দুটি বা ততোধিক টেকটোনিক প্লেট সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষগুলির উল্লেখযোগ্য ভূতাত্ত্বিক পরিণতি হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
  • অবনমন: অনেক ক্ষেত্রে, একটি প্লেট (সাধারণত ঘনতর মহাসাগরীয় ক্রাস্ট) অবনমনের মাধ্যমে অন্য একটির (মহাসাগরীয় বা মহাদেশীয় ক্রাস্ট) নিচে সরে যায়। এটি গভীর মহাসাগরীয় খাদ তৈরি করে এবং অবনমিত প্লেট গলে যাওয়ার সাথে সাথে আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপকে ট্রিগার করতে পারে।
  • পর্বত নির্মাণ: যখন দুটি মহাদেশীয় প্লেট সংঘর্ষ হয়, তখন তাদের কম ঘনত্বের কারণে কোনটিই অবনমিত হতে পারে না। পরিবর্তে, তারা ভেঙে পড়ে এবং ভাঁজ হয়, হিমালয়ের মতো বিশাল পর্বতমালা তৈরি করে।
  • ভূমিকম্প: প্লেট অভিসরণে জড়িত অপরিসীম শক্তি প্লেট সীমানা বরাবর উল্লেখযোগ্য চাপ তৈরি করে, যার ফলে ঘন ঘন এবং কখনও কখনও শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়।
  • আগ্নেয়গিরি: অবনমিত পদার্থের গলন এবং ম্যাগমার উত্থান আগ্নেয়গিরির চাপ, আগ্নেয়গিরির শৃঙ্খল তৈরি করতে পারে যা প্রায়শই অভিসারী সীমানার সমান্তরালে পাওয়া যায়।
• অভিসারী প্লেট সীমানার উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে:
  • আন্দিজ পর্বতমালা: দক্ষিণ আমেরিকান প্লেটের নিচে নাজকা প্লেটের অবনমনের ফলে গঠিত।
  • জাপানি দ্বীপপুঞ্জ: ইউরেশীয় প্লেটের নিচে প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্লেটের অবনমনের ফলে গঠিত একটি দ্বীপ চাপ।
  • হিমালয়: ভারতীয় এবং ইউরেশীয় প্লেটের চলমান সংঘর্ষের ফলাফল।

সঠিক উত্তর বহিঃকেন্দ্র।

• পৃথিবীর অভ্যন্তরটি ক্রাস্ট, ম্যান্টল এবং কোর বা কেন্দ্র নামে তিনটি ভাগে বিভক্ত।
• কোর বা কেন্দ্র পৃথিবীর সবথেকে অভ্যন্তরীণ স্তর।
• সবথেকে অভ্যন্তরীণ স্তর (কোর) এর ব্যাসার্ধ প্রায় 3500 কিমি।
• কোর নিকেল এবং লোহা দ্বারা গঠিত পদার্থ দিয়ে তৈরি হয়।
• কেন্দ্রীয় কোরটির তাপমাত্রা এবং চাপ খুব বেশি।

• কোরটি আরও দুটি স্তরে বিভক্ত, বহিঃকেন্দ্র এবং অন্তঃকেন্দ্র।
• পৃথিবীর বহিঃকেন্দ্রটি তরল অবস্থায় রয়েছে।
• অন্তঃকেন্দ্রটি কঠিন অবস্থায় রয়েছে
• বহিঃকেন্দ্র পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের জন্য দায়ী।

• ভূত্বক পৃথিবীর সবথেকে বাইরের স্তর।
  • এটি প্রকৃতিতে ভঙ্গুর।
  • এটি পৃথিবীর সবথেকে পাতলা স্তর।
  • ভূত্বকের বেধ সমুদ্রীয় ও মহাদেশীয় অঞ্চলে পরিবর্তিত হয়।
• ম্যান্টল পৃথিবীর অভ্যন্তরের দ্বিতীয় স্তর।
  • ম্যান্টল মোহোর বিচ্ছিন্নতা থেকে শুরু করে 2,900 কিমি গভীরতায় প্রসারিত।
  • ম্যান্টলের উপরের অংশটিকে অ্যাসথেনোস্ফিয়ার বলে।

সঠিক উত্তর 4

• ঐতিহাসিক ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপের উপর ভিত্তি করে , ভারতীয় স্ট্যান্ডার্ড ব্যুরো ভারতের অঞ্চলগুলিকে চারটি ভূমিকম্প অঞ্চলে শ্রেণীবদ্ধ করেছে : অঞ্চল  II, III, IV এবং V 
• এর মধ্যে সর্বাধিক ভূমিকম্পের দিক থেকে সক্রিয় অঞ্চলটি অঞ্চল V এবং সর্বনিম্ন সক্রিয় হল অঞ্চল II
• ভারতীয় উপমহাদেশে ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পের ইতিহাস রয়েছে।
• ভূমিকম্পের উচ্চ মাত্রার এবং তীব্রতার মূল কারণ হ'ল ভারতীয় প্লেট এশিয়া প্লেটের দিকে প্রতিবছর প্রায় 47 মিমি হারে সরে যাওয়া। 
• ভারতের ভূতাত্ত্বিক পরিসংখ্যানগুলি দেখায় যে প্রায় 54 শতাংশ অংশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে।
• বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং জাতিপুঞ্জের গবেষণা পূর্বাভাস দিয়েছে যে 2050 সালের মধ্যে ভারতে প্রায় 200 মিলিয়ন নগরবাসী ঝড় ও ভূমিকম্পের ঝুঁকির সম্মুখীন হবে।
• ভারতের ভূমিকম্প প্রতিরোধক নকশার সংকেত [আইএস 1893 (পর্ব 1) 2002 ] -এ দেওয়া ভারতের ভূমিকম্পের অঞ্চল মানচিত্রের সাম্প্রতিক সংস্করণটি ভারতের জন্য অঞ্চলের কারণগুলির ক্ষেত্রে চার ডিগ্রি ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিয়েছে। 
• অন্য কথায়, এর পূর্ববর্তী সংস্করণের মতো, যা এই অঞ্চলের পাঁচ বা ছয়টি অঞ্চল নিয়ে গঠিত, ভারতের ভূমিকম্প অঞ্চল মানচিত্র ভারতকে ভূমিকম্পের অঞ্চলগুলিতে ভাগ করে দিয়েছে (অঞ্চল 2, 3, 4 এবং 5)।
• নতুন অঞ্চল মানচিত্র অনুসারে, ভূমিকম্পের সর্বাধিক ডিগ্রি পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে অঞ্চল 5 এর ক্ষেত্রে এবং সর্বনিম্ন স্তরের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে অঞ্চল 2 এর সাথে সম্পর্কিত।

ভারতের মানচিত্রে সংশোধিত ভূমিকম্পের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল 

বিকল্প 2 হল সঠিক, অর্থাৎ অ্যালুমিনিয়াম।Key Points

• অ্যালুমিনিয়াম পৃথিবীর ভূত্বকের মধ্যে সবচেয়ে প্রচুর পরিমাণে (সর্বাধিক প্রচুর) প্রাপ্ত ধাতু।
• অ্যালুমিনিয়াম পৃথিবীর পৃষ্ঠের মোট ধাতুর প্রায় 8.1 শতাংশ।

Important Points

• পৃথিবীর পৃষ্ঠে সর্বাধিক পরিমাণে প্রাপ্ত অ-ধাতু হল অক্সিজেন।
• পৃথিবীর ভূত্বকের মধ্যে সবচেয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রাপ্ত ধাতুকল্প হল সিলিকন।
• O > Si > Al > Fe > Ca পৃথিবীর ভূত্বকের মধ্যে সঞ্চিত সর্বাধিক প্রচুর উপাদান।

• স্তূপ পর্বত হলো এমন ধরণের পর্বত যাতে পর্বতের মাঝের অংশটিনীচু হয় এবং দুই পাশ উঁচু হয়।
• মধ্যের অংশটিকে গ্রস্ত উপত্যকা বলে।
• ব্ল্যাক ফরেস্ট (জার্মানি), সল্ট পর্বতশ্রেণী (পাকিস্তান), বিন্ধ্য ও সাতপুরা (ভারত) এগুলি সবই স্তূপ পর্বতের উদাহরণ।
• উরাল একটি ভঙ্গিল পর্বত। পৃথিবীর অভ্যন্তরের অভ্যন্তরীণ গতিবিধির কারণে শিলায় ভাঁজ সৃষ্টি হওয়ার কারণে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি হয়।
• স্তূপ পর্বত -

সঠিক উত্তর L তরঙ্গ

Key Points

• L তরঙ্গ, বা লাভ তরঙ্গ, ভূকম্পন কার্যকলাপে এক ধরণের পৃষ্ঠ তরঙ্গ।
  • ব্রিটিশ গণিতবিদ এ.ই.এইচ. লাভের নামে নামকরণ করা হয়েছে, যিনি প্রথম গাণিতিকভাবে তাদের অস্তিত্বের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল।
  • লাভ তরঙ্গগুলি বংশবিস্তার দিকে লম্বভাবে অনুভূমিক সমতলে ভূমিকে এদিক-ওদিক নিয়ে যায়।
  • যখন তারা পৃথিবীর পৃষ্ঠ বরাবর ভ্রমণ করে, তারা অনুভূমিক শিয়ারিং সৃষ্টি করে এবং সম্পূর্ণ অনুভূমিক গতি তৈরি করে।
  • L তরঙ্গগুলি সমস্ত সিসমিক তরঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে ধীর এবং তাই সিসমোগ্রাফ দ্বারা রেকর্ড করা শেষ তরঙ্গ।
  • এই তরঙ্গগুলি তাদের অনুভূমিক গতির কারণে কাঠামোর ভিত্তিগুলির জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকারক।

Additional Information

• P তরঙ্গ:
  • P তরঙ্গ, বা প্রাথমিক তরঙ্গ, শারীরির তরঙ্গ যা পৃথিবীর অভ্যন্তরের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করে।
  • এগুলি দ্রুততম সিসমিক তরঙ্গ এবং এইভাবে সিসমোগ্রাফ দ্বারা সনাক্ত করা প্রথম।
  • P তরঙ্গ কণাগুলিকে তরঙ্গের মতো একই দিকে যেতে দেয়, একটি ধাক্কা-এবং-ঠেলা গতি তৈরি করে।
• S তরঙ্গ:
  • S তরঙ্গ, বা সেকেন্ডারি তরঙ্গগুলিও শারীরির তরঙ্গ যা পৃথিবীর অভ্যন্তরের মধ্য দিয়ে চলে।
  • এগুলি P তরঙ্গের চেয়ে ধীর তবে পৃষ্ঠ তরঙ্গের চেয়ে দ্রুত।
  • S তরঙ্গের কারণে কণাগুলি তরঙ্গের দিকে লম্বভাবে সরে যায়, একটি উপরে-নীচে বা পাশাপাশি গতি তৈরি করে।
• R তরঙ্গ:
  • রেলেই তরঙ্গ নামেও পরিচিত।
  • এটি উভয় সংকোচন এবং প্রসারণ গতি আছে।
  • এই তরঙ্গগুলি পৃষ্ঠের সাথে P-তরঙ্গ এবং উল্লম্বভাবে মেরুকৃত S-তরঙ্গগুলির মিথস্ক্রিয়া থেকে পরিণত হয় এবং যে কোনও কঠিন মাধ্যমে বিদ্যমান থাকতে পারে।

সঠিক উত্তর হল 30 কিমি ।

Key Points 

• ভূত্বক:
  • পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ বেশ কয়েকটি ঘনকেন্দ্রিক স্তর দ্বারা গঠিত যা ভূত্বক, গুরুমণ্ডল, বহিকেন্দ্রমণ্ডল এবং অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডল।
  • ভূত্বক হল পৃথিবীর বাইরের স্তর যা পৃথিবীর আয়তনের 0.5-1.0% এবং পৃথিবীর ভরের 1% এর কম।
  • এই প্রক্রিয়ার সময় যে উপাদানগুলি প্রাথমিকভাবে তাদের তরল পর্যায়ে থাকে, যাকে বলা হয় "অসঙ্গত উপাদান", শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর ভঙ্গুর ভূত্বক হয়ে ওঠে। সুতরাং, বিবৃতি 1 সঠিক।
  • ভূত্বকের নীচের স্তরটি বেসাল্টিক এবং অতি-মৌলিক শিলা দ্বারা গঠিত।
  • ঘনত্ব গভীরতার সাথে বৃদ্ধি পায়, এবং গড় ঘনত্ব প্রায় 2.7 g/cm3 (পৃথিবীর গড় ঘনত্ব 5.51 g/cm³)
  • ভূত্বকের পুরুত্ব মহাসাগরীয় ভূত্বকের ক্ষেত্রে 5-30 কিমি এবং মহাদেশীয় ভূত্বকের ক্ষেত্রে 50-70 কিমি পরিসরে পরিবর্তিত হয়।
  • সুতরাং, মহাসাগরীয় ভূত্বকের গড় বেধ হল 15 কিলোমিটার যেখানে মহাদেশীয় ভূত্বকের গড় বেধ হল 60 কিলোমিটার৷

 Important Points

সঠিক উত্তরটি হল বৃদ্ধি পায়।

• গভীরতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তাপমাত্রার বৃদ্ধি হয় যা ভূ-গর্ভস্থ খনি এবং গভীর কূপের মধ্যে লক্ষ্য করা হয়।
• পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে নির্গত উত্তপ্ত গলিত লাভা এই তথ্যের সমর্থন করে যে তাপমাত্রা পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে বৃদ্ধি পায়।
• উপরের 100 কিমির মধ্যে, তাপমাত্রার বৃদ্ধি প্রতি কিমি-তে 120C হারে হয়ে থাকে এবং পরবর্তী 300 কিমির মধ্যে, এই বৃদ্ধির হার প্রতি কিমি-তে 200C হয়। কিন্তু আরো গভীরে গেলে, এই হার কমে প্রতি কিলোমিটারে মাত্র 100C হয়ে যায়।
• অনুমান করা হয় যে ভূপৃষ্ঠের নীচে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার কেন্দ্রের দিকে ক্রমশ হ্রাস পায়।
• তাপমাত্রা সর্বদা ভূপৃষ্ঠ থেকে কেন্দ্রের দিকে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
• কেন্দ্রের তাপমাত্রা 30000C থেকে 50000C-এর মধ্যে রয়েছে বলে অনুমান করা হয়, সম্ভবত উচ্চ চাপ পরিস্থিতিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে এই তাপমাত্রা এত অধিক হয়।

সঠিক উত্তরটি হলো ​বেলেপাথর।

• বেলেপাথর কোনও রূপান্তরিত শিলা নয়।

• রূপান্তরিত শিলা হ'ল সেই ধরনের শিলা যা গঠনের সময় তীব্র তাপ বা চাপ দ্বারা পরিবর্তিত হয়েছিল।​
  • পৃথিবীর ভূত্বকের অভ্যন্তরে খুব উত্তপ্ত এবং চাপযুক্ত পরিস্থিতিতে, পাললিক এবং আগ্নেয় শিলা উভয়ই রূপান্তরিত শিলায় পরিবর্তিত হতে পারে। 
  • পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে ম্যাগমা নামক উত্তপ্ত গলিত শিলা প্রবেশের ফলে শিলা উত্তপ্ত হয়ে গেলে স্থানীয়ভাবে রূপান্তরিত শিলা তৈরি হতে পারে।
  • কয়েকটি রূপান্তরিত শিলাগুলির উদাহরণ হ'ল নিস, স্লেট, মার্বেল, স্কিস্ট এবং কোয়ার্টজাইট। 
  • রূপান্তরিত হওয়ার পরে মার্বেল, স্লেট এবং কোয়ার্টজ গঠিত হয়। চরম তাপমাত্রা এবং চাপের কারণে তাদের মূল আকারের পরিবর্তন হয়েছিল।
  • তিন ধরনের রূপান্তরগুলি হলো স্পর্শ রূপান্তর, আঞ্চলিক এবং গতিশীল রূপান্তর।    
  • স্পর্শ রূপান্তর ঘটে যখন ম্যাগমা পূর্বে অস্তিত্বশীল শিলাটির সংস্পর্শে আসে। 

• বেলেপাথর:
  • বেলেপাথর একটি খনিজ, শিলা বা জৈব পদার্থের বালি আকারের দানার সমন্বয়ে গঠিত পাললিক শিলা।​
    • এটিতে সিমেন্ট জাতীয় উপাদান রয়েছে যা বালির দানাগুলিকে একসাথে ধরে রাখে এবং এতে পলি- বা কাদামাটি আকারের কণার একটি মৌল থাকতে পারে যা বালির দানার মধ্যে ফাঁকা জায়গা দখল করে রাখে। 
  • বেলেপাথর বেশিরভাগ কোয়ার্টজ বালি দ্বারা গঠিত একটি পললীয় শিলা, তবে এটিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ফিল্ডস্পার এবং কখনও কখনও পলি এবং কাদামাটিও থাকতে পারে।
  • যে বেলেপাথরে 90% কোয়ার্টজ থাকে তাকে কোয়ার্টজোজ বেলেপাথর বলা হয়।    

সঠিক উত্তর পাললিক শিলা

• দীর্ঘ সময় ধরে পলিগুলির অবক্ষেপণ, পললকরণ এবং লিথিফিকেশন দ্বারা পাললিক শিলা গঠিত হয়।
• পাললিক শিলাগুলিতে উদ্ভিদ এবং প্রাণীর জীবাশ্ম থাকে, যেগুলি একসময় তাদের উপরে বাস করত, তা থাকতে পারে।
• 'পলল' বা 'সেডিমেন্টারি' শব্দটি লাতিন শব্দ "সেডিমেন্টাম" থেকে এসেছে।
• শেল, চুনাপাথর এবং কংগ্লোমারেট হল পাললিক শিলার আরও কয়েকটি উদাহরণ।

• বেলেপাথর পাললিক শিলার একটি উদাহরণ।
• বালুকণা থেকে বেলেপাথর তৈরি হয়।

• একটি শিলার মধ্যে এক বা একাধিক খনিজ পদার্থ উপস্থিত থাকে।
• আগ্নেয় শিলা উষ্ণ এবং গলিত ম্যাগমা শীতল হয়ে, জমাট বেঁধে এবং কেলাসনের মাধ্যমে গঠিত হয়। 
  • গ্রানাইট, বাসাল্ট, গ্যাব্রো আগ্নেয় শিলার উদাহরণ।
• পাললিক শিলা এবং আগ্নেয় শিলা উচ্চ চাপ এবং তাপমাত্রার ফলে রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়।
  • মাটি বা ক্লে স্লেটে রূপান্তর এবং চুনাপাথর মার্বেলে রূপান্তর রূপান্তরিত শিলার উদাহরণ।
• মার্বেল এবং কোয়ার্টজাইট অপত্রোদ্গত রূপান্তরিত শিলার উদাহরণ।

সঠিক উত্তরটি হল টেথিস সাগর

Important Points

• ভারত গন্ডোয়ানা ভূমির একটি অংশ।
• প্রায় 200 মিলিয়ন বছর আগে প্যানেজিয়া নামক বৃহৎ স্থলভাগ লরাশিয়া এবং গন্ডোয়ানা নামক দুটি বৃহৎ মহাদেশীয় স্তরে বিভক্ত হতে শুরু করে।
• গন্ডোয়ানা একটি সুপারমহাদেশ ছিল।
• এটি নিওপ্রোটেরোজয়িক যুগ থেকে জুরাসিক যুগ পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল।
• লরাসিয়া উত্তর গোলার্ধের একটি মহাদেশীয় ভর।
• এটি ভারত উপদ্বীপ ছাড়া উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করে।
• মেসোজোয়িক যুগে টেথিস সাগর ছিল একটি মহাসাগর।

Additional Information

• কৃষ্ণ সাগর ইউরোপ ও এশিয়াকে পৃথক করেছে।
• লোহিত সাগর আফ্রিকা ও আরবের মধ্যে অবস্থিত।
• প্রশান্ত মহাসাগর উত্তরে আর্কটিক মহাসাগর থেকে দক্ষিণে দক্ষিণ মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।