প্রত্যক্ষ শিক্ষার প্রচারের জন্য নিচের কোন পদ্ধতি সবচেয়ে উপযুক্ত হবে? 

শিক্ষাদান-অনুশীলন প্রক্রিয়ার মূল লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের শেখার অভিজ্ঞতা প্রদান করা। এই উদ্দেশ্যে, একজন শিক্ষক মজাদার এবং আকর্ষণীয় উপায়ে জ্ঞান লেনদেনের জন্য বিভিন্ন কৌশল এবং পদ্ধতি তৈরি করেন। এই পদ্ধতিগুলির প্রতিটির অন্যদের তুলনায় নির্দিষ্ট সুবিধা রয়েছে। 

বিস্তৃতভাবে দুই ধরনের শিক্ষাদান পদ্ধতি রয়েছে:

(এখানে প্রত্যক্ষ শিক্ষা মানে নিজের দ্বারা শেখা বা সহজ কথায়, নিজের কাজ করে শেখা)

লেকচার:

• এটি শিক্ষাদানের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি যা শিক্ষকদের যৌক্তিকভাবে সংগঠিত তথ্য উপস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং এটি তথ্যের সরাসরি উৎস। 
• লেকচার বৃহৎ দলে জ্ঞানের বিশাল অংশ প্রদানের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
• শিক্ষার্থীর ভূমিকা আরও নিষ্ক্রিয় কারণ এটি একটি শিক্ষক-কেন্দ্রিক পদ্ধতি এবং একমুখী যোগাযোগের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এবং ধারণার স্বচ্ছতা অর্জন করা হয়েছে কিনা তা মূল্যায়ন করা কঠিন। 
• এই পদ্ধতিটি শিক্ষকদের যৌক্তিকভাবে সংগঠিত তথ্য উপস্থাপন করতে সাহায্য করার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এটি তথ্যের সরাসরি উৎস।
• লেকচার বড় দল শেখানোর জন্য বিশেষভাবে দরকারী হয়। 
• যাইহোক, শিক্ষার্থীরা নিষ্ক্রিয় কারণ সাধারণত একমুখী যোগাযোগ থাকে এবং শিক্ষার্থীরা আসলে শিখেছে কিনা তা মূল্যায়ন করা কঠিন। 

আলোচনা​:

• গ্রুপ-ভিত্তিক শেখার কৌশলের সহজতম রূপ হল আলোচনা, যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। 
• এর মূল্য মূলত এই সত্যে নিহিত যে এটি এক ধরণের বুদ্ধিবৃত্তিক দলগত কাজকে প্রতিনিধিত্ব করে, এই নীতির উপর নির্ভর করে যে একক ব্যক্তির তুলনায় একাধিক ব্যক্তির সমন্বিত জ্ঞান, ধারণা এবং অনুভূতিগুলি বেশি যোগ্যতা রাখে (জারোলিমেক, 1986)। 
• আলোচনার শক্তি গ্রুপের সদস্যদের ব্যাপক অংশগ্রহণের মধ্যে নিহিত থাকে।
• এটি একত্রে চিন্তা করার একটি প্রক্রিয়া যা একটি সদস্য বা গোষ্ঠী আধিপত্য করলে ভেঙে যায়। 
• শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা হল শিক্ষকের দায়িত্ব।
• এটি জ্ঞানকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি কার্যকরভাবে উচ্চতর জ্ঞানীয় ক্ষমতা বিকাশ করতে পারে। 

টীম শিক্ষাদান পদ্ধতি:

• এটি বৃহৎ গোষ্ঠীকে শেখানোর একটি উদ্ভাবনী পদ্ধতি যেখানে দুই বা ততোধিক শিক্ষক ছাত্রদের একটি গ্রুপের জন্য শেখার অভিজ্ঞতা পরিকল্পনা, সম্পাদন এবং মূল্যায়নের সাথে জড়িত। 
• এটি যেকোন বয়সের ছাত্রদের একটি গ্রুপকে শিখতে সাহায্য করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে, নিয়মিতভাবে এবং সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করা একদল প্রশিক্ষককে জড়িত করে। 

প্রকল্প পদ্ধতি​:

• উইলিয়াম হার্ড কিলপ্যাট্রিক, ডিউয়ের মতো একজন প্রগতিশীল শিক্ষাবিদ, 20 শতকের প্রথম দিকে শিক্ষাদানের প্রকল্প পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করেছিলেন। একটি প্রকল্প একটি সামাজিক পরিবেশে অগ্রসর হওয়া একটি সম্পূর্ণ হৃদয়গ্রাহী উদ্দেশ্যমূলক কার্যকলাপ বলে মনে করা হয় (কিলপ্যাট্রিক, 1918)। এইভাবে সমস্যা-সমাধানের জন্য সক্ষমতা লালন করার পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য রাখে।
• প্রকল্পের পদ্ধতিটি এই দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করে যে অভিজ্ঞতাগুলি শেখার দিকে পরিচালিত করে। তাই শিক্ষার্থীদের তাদের পরিবেশ অন্বেষণ করতে হবে, তাদের পরিবেশে বস্তুগুলিকে চালিত করতে হবে এবং এইভাবে শিক্ষকদের দ্বারা বর্ণিত অন্য কোনও পরিবেশে অন্য কারও অভিজ্ঞতা শোনার পরিবর্তে সরাসরি অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে হবে। 
• এইভাবে এই পদ্ধতির মাধ্যমে শেখা প্রাসঙ্গিক এবং অর্থবহ এবং শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে। 

অত:পর, প্রকল্প পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রত্যক্ষ শিক্ষার প্রচারের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।